লেখক: মোঃ আখতারুজ্জামান তিতাস
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশের বুকে কলঙ্ক এঁকে দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যার মাধ্যমে শত্রুর দল কেড়ে নিয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুখের হাসি। সমগ্র দেশবাসী অশ্রুসজল চোখে প্রত্যক্ষ করেছিলো বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি। ছোট বোন শেখ রেহানা আর নিজের স্বামী সন্তানদের বুকে আগলে রেখে বঞ্চনার এক সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দুখি কন্যা শেখ হাসিনা। হাসিহীন হাসিনার বিষণ্ন মুখটাই ছিলো যেন দুখিনী বাংলার প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের ইতিহাসের এই কলঙ্কিত, বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড তাঁর জীবন থেকে হাসি কেড়ে নিলেও তাঁর দৃঢ় মনোবল নস্যাৎ করতে পারেনি।তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, বারবার ফিরে এসেছেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে। বিধাতার আর্শীবাদে তিনি আজ বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা গড়ার কারিগর।বিশ্বমাঝে তিনি আজ সুপ্রতিষ্ঠিত “মানবতার জননী” হিসেবে। মানবতার কল্যাণে নিবেদিত মহীয়সী প্রধানমন্ত্রী আজ অজস্র অসহায় মানুষের মুখের হাসির মাঝেই খুঁজে পেয়েছেন নিজের মুখের হাসি।
“হাসিনার মুখের হাসি” কাব্যগ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর জীবনের সকল দিক কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেক অজানা বিষয়কে সহজবোধ্য করে প্রকাশ করেছি কবিতায়। বঙ্গবন্ধু ছাড়াও বঙ্গমাতা, বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূর হাতের মেহেদির রং না শুকাতেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া, ছোট্ট নিষ্পাপ শেখ রাসেলের প্রতি অবিচার ও অত্যাচার, পনেরো আগস্টে নিহতদের পরিচয়, বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। একজন লেখকের মূল দায়িত্ব লেখার মাধ্যমে জটিল, অজানা ও দুর্বোধ্য বিষয়সমূহকে পাঠকের সামনে সহজবোধ্য করে তুলে ধরা। সেক্ষেত্রে আমার লেখা এই বইটি ব্যাপক তথ্যপূর্ণ এবং আমি দৃঢ়ভাবে আশা ও বিশ্বাস করি বইটি পাঠকের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।
Reviews
There are no reviews yet.